Loader
শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও সামাজিক উন্নয়নই নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন-এরমূল লক্ষ্য। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরোপকার-এর মাধ্যমে বিশ্বমানবতার কল্যাণই আমাদের একমাত্র ব্রত। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, এতিম, গরিব, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভরণপোষণ, ছিন্নমূল ও পথবাসীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সব শ্রেণির নাগরিকদের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা।

নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন

শান্তির পথে সাহসী যাত্রা


শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও সামাজিক উন্নয়নই নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন-এর মূল লক্ষ্য। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরোপকার-এর মাধ্যমে বিশ্বমানবতার কল্যাণই আমাদের একমাত্র ব্রত। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, এতিম, গরিব, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভরণপোষণ, ছিন্নমূল ও পথবাসীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সব শ্রেণির নাগরিকদের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা।

Image

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম

(১৯৪৬ - ২০২০)

আমাদের কার্যক্রম


কিংবদন্তির জীবন কথা


২০২০ সালের ১৩ জুলাই মাটির পৃথিবীকে চির বিদায় জানান শিল্প খাতের সফল আইকন যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে শেষে জীবনের কাছে হার মানেন সাহসের এই বাতিঘর। পরের দিন ১৪ জুলাই গভীর শোক, বিনম্র শ্রদ্ধা এবং হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় (গার্ড অব অনার) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী যমুনা গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম । ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিন মেয়ে-সারীয়াত তাসরিন সোনিয়া, মনিকা নাজনীন ইসলাম এবং সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক। শিল্প খাতের একটি বিপ্লবের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রেখেছেন সফলতার স্বাক্ষর। একজীবনে দুই হাত ভরে দেশকে দিয়ে গেছেন ক্ষণজন্মা এই মানুষটি। যৌবনে অস্ত্র হাতে ১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন রণাঙ্গনের প্রথম সারির এই যোদ্ধা। আর স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য শুরু করেন নতুন যুদ্ধ। এ যেন অবিরাম পথচলা। মেধা, সততা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার সঙ্গে একে একে ৪২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন আপসহীন এই কর্মবীর। তার মালিকানাধীন যমুনা ফিউচার পার্ক এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিংমল। এছাড়াও যমুনা ইলেকট্রনিক্স, দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই তালিকায়। সৃষ্টি করেছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান।
নুরুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ৩ মে ঢাকার নবাবগঞ্জের চুড়াইন ইউনিয়নের কামালখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আমজাদ হোসেন এবং মা জোমিলা খাতুন। বিশিষ্ট এই শিল্পপতি নুরুল ইসলাম যেমন দেশকে ভালোবাসতেন, তেমনই ভালোবাসতেন জন্মদাত্রী জননীকেও। স্রষ্টা তাকে মায়ের প্রতি সেই ভালোবাসার প্রতিদানও দিয়েছেন অকুণ্ঠ হস্তে। দেশের শিল্প খাতে মহিরুহসম এ মহান ব্যক্তির জীবন ও কর্ম সর্ম্পকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে, ‘কিংবদন্তির জীবন কথায়’।

আরও পড়ুন

স্বেচ্ছাসেবক টিম


দেশব্যাপী বিস্তৃত নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের রয়েছে সুদক্ষ ও প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক টিম। গণশিক্ষা ও মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রকল্পের শিক্ষকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা ত্রাণ বিতরণ, লাশ দাফন, রক্তদান, বৃক্ষ রোপণ, পুনর্বাসনসহ দুর্গত ও মহামারি আক্রান্ত মানুষের সেবা করাকে নিজের জন্য সৌভাগ্যের বিষয় মনে করে থাকেন। আমরা বিশ্বাস করি নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতের মতোই মানব সেবায় মিলে অশেষ সওয়াব। আমরা এ সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে জাগতিক ফায়দা, সময়িক বাহবার বদলে রোজ কেয়ামতে আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম বিনিময় কামনা করি। আমরা কায়মনে দোয়া করি আমাদের এ ক্ষুদ্র শ্রম ও ঘামের বদলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের প্রিয় নুরুল ইসলাম সাহেবকে জান্নাতের মহান সম্মানিত আসনে সমাসীন করেন।

যোগ দিন আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিমে
Team