Loader
শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও সামাজিক উন্নয়নই নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন-এরমূল লক্ষ্য। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরোপকার-এর মাধ্যমে বিশ্বমানবতার কল্যাণই আমাদের একমাত্র ব্রত। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, এতিম, গরিব, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভরণপোষণ, ছিন্নমূল ও পথবাসীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সব শ্রেণির নাগরিকদের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা।

লাশ দাফন কার্যক্রম


কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক প্রাণী মরণশীল।’ (সূরা আলে ইমরান : ১৮৫)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মৃত মুসলমানকে গোসল দেয় অতঃপর তার কোনো দোষ জেনে তা গোপন করে আল্লাহতায়ালা তাকে চল্লিশ বার ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি মৃতকে কাফন পরায় মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের মোটা ও মসৃণ রেশমের পোশাক পরাবেন।’ (তাবারানি, লাওয়াকিহুল আনওয়ার : ২৪৪)
ইসলামি শরিয়ত নির্দেশিত নিয়মে মুসলমানের লাশকে দাফন করা ফরজ। দাফন করার এই নিয়ম হজরত আদম (আ.) থেকে এ পর্যন্ত সব নবী-রাসূলের যুগেই পালন হয়ে আসছে। এটি আল্লাহর নির্দেশেই প্রবর্তিত হয়েছেÑযা হাবিলকে দাফন করার জন্য কাকের মাধ্যমে কবর খননের শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিসে আছে, হজরত আমের ইবনে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস যে রোগে ইন্তেকাল করেছেন সে রোগে তার ইন্তেকালের সময় বলেছেন, ‘আমার জন্য বগলি কবর তৈরি করবে এবং তাতে কাঁচা ইট খাড়া করে দেবে, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বগলি কবরে দেওয়া হয়েছে।’ (মুসলিম : ২২৮৪)
বেওয়ারিশ লাশ, করোনাক্রান্ত লাশ অথবা হতদরিদ্র এমন অসহায় মানুষ যারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের লাশ দাফনেও অক্ষম। তাদের পাশে আছে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন।