নিরাপদ পানি সরবরাহ
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে উত্তম সদকা হলো মানুষকে পানি পান করানো। (আহমদ, আবু দাউদ) হজরত সাদ বিন উবাদা (রা.) এসে নবীজিকে বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি তার জন্য কোনো কিছুর ওসিয়ত করে যাননি। আমি যদি তার পক্ষ হয়ে কিছু সদকা করি, তবে কি তা আমার মায়ের কোনো উপকারে আসবে? নবীজি বললেন, হ্যাঁ, হবে। তুমি মানুষকে পানি পান করাও।
হজরত ইবনে আব্বাসকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন দানটি সর্বোত্তম? তিনি বললেন, অন্যকে পানি পান করানো। ইমাম কুরতুবি একটি আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে বলেছেন, যার গোনাহ বেশি হয়ে গেছে, সে যেন মানুষকে পানি পান করায়।
সহিহ বুখারি শরিফে বর্ণিত হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর বদৌলতে এক পাপী ব্যক্তিকেও আল্লাহ পাক মাফ করে দিয়েছেন। সামান্য কুকুরের তৃষ্ণা মেটানোয় যদি এত বড় পুরস্কার হয়, তবে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে পানি পান করানোর বিনিময় আরও কত মহান হতে পারে তা কি কখনো ভেবে দেখেছি!
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোথাও একটি কূপ খনন করে দেয় এবং তারপর সেখান থেকে কোনো মানুষ, পশু-পাখি অথবা কোনো প্রাণীও যদি পানি পান করে, তবে প্রত্যেকটির বিনিময়ে আল্লাহ পাক তাকে কিয়ামতের দিন নেকি দান করবেন। এখানে শুধু কূপ নয়, বরং শহর ও অঞ্চলভেদে যে কোনোভাবে পানি পান করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার ফজিলত বোঝানো উদ্দেশ্য।
মফস্বলের মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র মানুষের বাড়ির নিরাপদ পানির চাহিদা পূরণের জন্য টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ করছে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন।