হজ প্রশিক্ষণ
মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও। তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে এবং সব ধরনের (পথশ্রান্ত) কৃশকায় উটের ওপর সওয়ার হয়ে দূরদূরান্ত থেকে। যাতে তারা তাদের (দুনিয়া ও আখিরাতের) কল্যাণের জন্য সেখানে উপস্থিত হতে পারে এবং রিজিক হিসাবে তাদের দেওয়া গবাদিপশুগুলো জবেহ করার সময় নির্দিষ্ট দিনগুলোতে তাদের ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে’। [সূরা হজ, ২২/২৭-২৮]।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করেছে, যার মধ্যে সে অশ্লীল কথা বলেনি বা অশ্লীল কার্য করেনি, সে হজ থেকে ফিরবে সেদিনের মতো (নিষ্পাপ অবস্থায়) যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন’। [সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১৫২১]। অর্থাৎ সে কবিরা-সগিরা, প্রকাশ্য-গোপনীয় সব গুনাহ থেকে ওইরূপ মুক্ত হয়ে ফিরে আসে, যেরূপ একজন শিশু গুনাহমুক্ত হয়ে জন্মগ্রহন করে। [ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ৩/৩৮২]
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ। সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। শারীরিক সক্ষম ও আর্থিকভাবে সচ্ছল প্রত্যেক মুমিন মুসলমান বায়তুল্লাহর কালো গিলাফ আর কালো পাথর ছুঁয়ে জীবনের সব অপরাধের জন্য ক্ষমা পেতে আজীবন প্রচেষ্টা করে যান। বাংলাদেশ থেকে যারা প্রতি বছর মক্কায় পবিত্র হজ পালন করতে যান তাদের অধিকাংশেরই হজের মাসআলা-মাসায়িল, আরকান-আহকাম সম্পর্কে জানা-শোনা কম থাকে। ফলে ছোট ছোট ভুলের কারণে সারা জীবনের স্বপ্ন হজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারেন না অনেকেই। তাই প্রতি বছর হজের আগে, হজ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন।