বনায়ন ও বৃক্ষ রোপণ
প্রকৃতি আল্লাহর দান, প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা আমাদের দায়িত্ব। পরিবেশ ও প্রতিবেশের অন্যতম নিয়ামক হলো উদ্ভিদ ও গাছপালা। গাছগাছালি, বৃক্ষতরু ও লতাগুল্ম থেকেই আসে আমাদের জীবনধারণ ও জীবন রক্ষার সব উপকরণ। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাতে গাছ লাগিয়েছেন, সাহাবায়ে কেরামকে গাছ লাগাতে ও বাগান করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ব্যক্তিগত ও সামাজিক বনায়নও করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃক্ষরোপণকে সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ, পাখি বা পশু যখন তাদের আহার্য গ্রহণ করে, তখন তা তার (রোপণকারী) পক্ষে একটি সদকা (দান) হিসাবে পরিগণিত হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো বৃক্ষ রোপণ করল, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর বিনিময়ে তাকে এই বৃক্ষের ফলের সমপরিমাণ প্রতিফল দান করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ)। গাছের প্রতিটি পাতা আল্লাহর জিকির করে। সেই জিকিরের সওয়াব রোপণকারীর আমলনামায় লেখা হয়।
বর্তমান সময়ে মানুষ নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, বন উজাড়, নদী ভরাট, পাহাড় কেটে, পানি অপচয় আর প্রযুক্তির বিষবাষ্প বাতাসে ছড়িয়ে দিয়ে সাধিত করছে জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন। ফলে পৃথিবী হয়ে পড়ছে বিপর্যস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনে ভুক্তভোগী দেশেগুলোর ষষ্ঠ স্থানে আছে বাংলাদেশ। পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি, বনায়ন ও বৃক্ষ রোপণ কমসূচি হাতে নিয়েছে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন।