Loader
শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও সামাজিক উন্নয়নই নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন-এরমূল লক্ষ্য। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরোপকার-এর মাধ্যমে বিশ্বমানবতার কল্যাণই আমাদের একমাত্র ব্রত। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, এতিম, গরিব, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভরণপোষণ, ছিন্নমূল ও পথবাসীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সব শ্রেণির নাগরিকদের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা।

এতিমখানা ও মাদ্রাসা


ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে জাতীয় জীবনের সব সমস্যার যথাযথ দিকনির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো কুরআন-হাদিসের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশিত সরল সঠিক পথে চলা। এতে রয়েছে সামাজিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও পরকালিন মুক্তির নিশ্চিত গ্যারন্টি। আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমাদের প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একটি দল কেন বের হয় না যারা দ্বীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করবে এবং ফিরে এসে স্বজাতিকে সতর্ক করবে যাতে তারা (অপরাধ থেকে) বেঁচে থাকে। (সূরা তাওবা-১২২)
রাসূল (সা.) বলেন, প্রত্যেক মুসলিম নর ও নারীর ওপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। (ইবন মাজাহ : ২২৪)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত এতিম ও বন্দিদের খাবার দান করে। তারা বলে, শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা তোমাদের খাবার দান করি এবং তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।’ (সূরা দাহর : আয়াত ৮-৯)।
আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর এসব বাণীর আলোকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত একদল ধর্মপ্রচারক, সমাজসংস্কারক, সমাজসেবক ও কুরআন হাদিসের বিশেষজ্ঞ তৈরি করার জন্যই ‘মাদরাসাতুন নূর আল ইসলামিয়া’ (নুরুল ইসলাম এতিমখানা ও মাদ্রাসা)-এর শুভযাত্রা। এ মাদ্রাসা ধর্মীয় জ্ঞান বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের গরিব, এতিম ও অসহায় শিক্ষার্থীদের লালনপালন, ভরণপোষণ ও তত্ত্বাবধান করবে। ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলে সমাজের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা করে যাবে।

বিভাগসমূহ : নুরানি, নাজেরা, হিফজুল কুরআন, কিতাব বিভাগ ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ।