একজন চৌকশ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বাবুল
মো. লিয়াকত আলী খান মুকুল
১৩ জুলাই দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা নুরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ক্ষণজন্মা শিল্পোদ্যোক্তা দেশের শিল্প, কর্মসংস্থান তথা দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। কর্মসংস্থানমুখী শিল্পায়নের কারণে দেশের মানুষের কাছে আজীবন শ্রদ্ধার আসনে থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। চৌকশ এ ব্যবসায়ী তার মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন ‘যমুনা গ্রুপ’। এই গ্রুপের অধীন প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, বস্ত্র, নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস, রাসায়নিক, চামড়া, বিনোদন পার্ক, বেভারেজ, টয়লেট্রিজ, আবাসনসহ বিভিন্ন খাতের ৪১টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি; যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের।
ক্রেতার মন জয় করা বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড তৈরির মাধ্যমে নুরুল ইসলামের ব্যবসায়িক পারদর্শিতার প্রমাণ পাওয়া যায়। যমুনা ফ্যান, অ্যারোমেটিক সাবান এবং পেগাসাস কেডসের মতো জনপ্রিয় বাংলাদেশি ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন তিনি। দুই দশক আগে প্রতিষ্ঠা করেন পাঠকপ্রিয় দৈনিক যুগান্তর। প্রতিষ্ঠা করেছেন যমুনা টেলিভিশন। এ দুটি গণমাধ্যম দ্রুত সময়ে পাঠকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। যমুনা গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য বহুমুখিতায়ও তিনি বিচক্ষণতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। পণ্য রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ফ্রিজ, টিভিসহ নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে নুরুল ইসলাম একজন আধুনিক চিন্তার সাহসী উদ্যোক্তা। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন যমুনা গ্রুপ, যার অধীন প্রথম কোম্পানি যমুনা ফ্যান-যার রয়েছে দীর্ঘ ঐতিহ্য। পরে যমুনা ফিউচার পার্কের মতো সুবিশাল অত্যাধুনিক শপিংমল, যমুনা ইলেকট্রনিক্সের উৎপাদিত পণ্যের জনপ্রিয়তা যমুনাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্র্যান্ডের পরিচিতি এনে দিয়েছে। অ্যারোমেটিক কসমেটিকসের হালাল প্রসাধনী ও সাবান এবং পেগাসাস ব্র্যান্ডের ব্যবসায়িক সফলতাসহ নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দেশের শিল্প খাতে বিশাল অবদান রেখে গেছেন যমুনা গ্রুপের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম।
ব্যবসা-বাণিজ্যে নুরুল ইসলাম যে চৌকশ ছিলেন, তা তার প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন পর্যালোচনা করলেই এর প্রমাণ মেলে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড তৈরির পাশাপাশি দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস বস্ত্র খাতেও যমুনা গ্রুপের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। টেক্সটাইল, স্পিনিং, ডায়িং ও গার্মেন্টস পণ্য উৎপাদনে অন্তত ৮টি কোম্পানি রয়েছে গ্রুপটির; যার মাধ্যমে দেশ বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তার সব অর্থ, মেধা ও পরিশ্রম দেশেই বিনিয়োগ করেছেন। আমি জেনেছি, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অবদান রাখতে রাজধানীর কুড়িলে ৩০০ ফুটের কাছে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম। কিন্তু তার অকাল প্রয়াণে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হয়নি। আমি আশা করব, তার ছেলেমেয়েরা ওনার এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করবেন। একই সঙ্গে নুরুল ইসলামের উত্তরসূরিরা হবিগঞ্জে চলমান শিল্পাঞ্চল তৈরির কাজটিও সম্পন্ন করবেন, যেখানে আরও কর্মসংস্থান হবে। দেশের উন্নয়নে যমুনা গ্রুপের অবদান আরও বাড়বে-এমন প্রত্যাশা রেখে দেশের এই কৃতী শিল্পপতির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
লেখক : চেয়ারম্যান, রূপায়ণ গ্রুপ
ক্রেতার মন জয় করা বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড তৈরির মাধ্যমে নুরুল ইসলামের ব্যবসায়িক পারদর্শিতার প্রমাণ পাওয়া যায়। যমুনা ফ্যান, অ্যারোমেটিক সাবান এবং পেগাসাস কেডসের মতো জনপ্রিয় বাংলাদেশি ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন তিনি। দুই দশক আগে প্রতিষ্ঠা করেন পাঠকপ্রিয় দৈনিক যুগান্তর। প্রতিষ্ঠা করেছেন যমুনা টেলিভিশন। এ দুটি গণমাধ্যম দ্রুত সময়ে পাঠকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। যমুনা গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য বহুমুখিতায়ও তিনি বিচক্ষণতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। পণ্য রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ফ্রিজ, টিভিসহ নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে নুরুল ইসলাম একজন আধুনিক চিন্তার সাহসী উদ্যোক্তা। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন যমুনা গ্রুপ, যার অধীন প্রথম কোম্পানি যমুনা ফ্যান-যার রয়েছে দীর্ঘ ঐতিহ্য। পরে যমুনা ফিউচার পার্কের মতো সুবিশাল অত্যাধুনিক শপিংমল, যমুনা ইলেকট্রনিক্সের উৎপাদিত পণ্যের জনপ্রিয়তা যমুনাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্র্যান্ডের পরিচিতি এনে দিয়েছে। অ্যারোমেটিক কসমেটিকসের হালাল প্রসাধনী ও সাবান এবং পেগাসাস ব্র্যান্ডের ব্যবসায়িক সফলতাসহ নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দেশের শিল্প খাতে বিশাল অবদান রেখে গেছেন যমুনা গ্রুপের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম।
ব্যবসা-বাণিজ্যে নুরুল ইসলাম যে চৌকশ ছিলেন, তা তার প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন পর্যালোচনা করলেই এর প্রমাণ মেলে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড তৈরির পাশাপাশি দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস বস্ত্র খাতেও যমুনা গ্রুপের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। টেক্সটাইল, স্পিনিং, ডায়িং ও গার্মেন্টস পণ্য উৎপাদনে অন্তত ৮টি কোম্পানি রয়েছে গ্রুপটির; যার মাধ্যমে দেশ বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তার সব অর্থ, মেধা ও পরিশ্রম দেশেই বিনিয়োগ করেছেন। আমি জেনেছি, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অবদান রাখতে রাজধানীর কুড়িলে ৩০০ ফুটের কাছে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম। কিন্তু তার অকাল প্রয়াণে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হয়নি। আমি আশা করব, তার ছেলেমেয়েরা ওনার এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করবেন। একই সঙ্গে নুরুল ইসলামের উত্তরসূরিরা হবিগঞ্জে চলমান শিল্পাঞ্চল তৈরির কাজটিও সম্পন্ন করবেন, যেখানে আরও কর্মসংস্থান হবে। দেশের উন্নয়নে যমুনা গ্রুপের অবদান আরও বাড়বে-এমন প্রত্যাশা রেখে দেশের এই কৃতী শিল্পপতির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
লেখক : চেয়ারম্যান, রূপায়ণ গ্রুপ