Loader
শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও সামাজিক উন্নয়নই নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন-এরমূল লক্ষ্য। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরোপকার-এর মাধ্যমে বিশ্বমানবতার কল্যাণই আমাদের একমাত্র ব্রত। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, এতিম, গরিব, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভরণপোষণ, ছিন্নমূল ও পথবাসীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সব শ্রেণির নাগরিকদের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা।

শিল্পপতি, অর্থনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া ; নেতা সৎ ও সাহসী উদ্যোক্তার প্রতিচ্ছবি


সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করেও যে সফল ব্যবসায়ী হওয়া যায়, তার বড় উদাহরণ ছিলেন নুরুল ইসলাম। নীতির মধ্যে থেকে দেশের ব্যবসায়িক অঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। স্বপ্নবাজ ও মানুষটি গড়েছেন ৪১টি প্রতিষ্ঠান। তিনি চলে গেছেন ওপারে। কিন্তু তার সব উদ্যোগের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি, অর্থনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী নেতা তার কীর্তির কথা তুলে ধরে বলেছেন তিনি ছিলেন সৎ ও সাহসী উদ্যোক্তার প্রতিচ্ছবি।
 
অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন
এমএ মান্নান, পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, নুরুল ইসলাম যেমন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তেমনি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যও আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। অনেকটাই সফলও হয়েছেন তিনি। তার মৃত্যুতে দেশ একজন প্রথম সারির উদ্যোক্তাকে হারাল। তিনি এ দেশের শিল্প উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানাচ্ছি। তিনি দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অনবদ্য অবদান রেখেছেন। তার এ অবদান এ দেশ স্মরণ রাখবে।


দেশীয় উদ্যোক্তাদের রোল মডেল
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন সফল উদ্যোক্তা। মিডিয়া, পোশাক শিল্প, বিশ্বমানের শপিংমলসহ সব দিক বিবেচনায় তিনি সফল। বাজারে তার সুনাম রয়েছে। তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান পাননি। বরং তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন বহু প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী বিদেশমুখী। বাইরে টাকা-পয়সা নিয়ে যান। এক্ষেত্রে নুরুল ইসলাম ছিলেন ব্যতিক্রম।


কঠোর পরিশ্রম করে বহুমুখী শিল্পের প্রসার ঘটিয়েছেন
আহমেদ আকবর সোবহান, চেয়ারম্যান, বসুন্ধরা গ্রুপ
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেছেন, শিল্পপতি নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি কঠোর পরিশ্রম করে বহুমুখী শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছেন। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। হাজারও মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন। এ কারণে তিনি কর্মজীবী ও মেহনতি মানুষের মধ্যে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তার মৃত্যুতে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। একই সঙ্গে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।


পরিশ্রমী ও সাহসী শিল্পোদ্যোক্তার বিদায়
একে আজাদ, নোয়াব সভাপতি
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ বলেছেন, নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন সাহসী শিল্পোদ্যোক্তা। কঠোর পরিশ্রম ও সাহস নিয়ে তিনি একের পর এক নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যে কত কঠিন, সেটি যিনি গড়েছেন তিনিই বুঝেন। এত চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি গণমাধ্যমও চালিয়েছেন সফলভাবে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন। তার মৃত্যুতে শিল্প খাতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।


অত্যন্ত সাহসী উদ্যোক্তা ছিলেন
ড. রুবানা হক, বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, শিল্পপতি নুরুল ইসলাম অত্যন্ত সাহসী উদ্যোক্তা ছিলেন।
কঠোর পরিশ্রম ও মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে শিল্প খাতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আশা করি, পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।


বহুমুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছেন
তপন চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্কয়ার গ্রুপ
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী বলেছেন, এদেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যে কত কঠিন, সেই কঠিন কাজটি নুরুল ইসলাম অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে করেছেন। তিনি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছেন এবং সফল হয়েছেন। এই ধরনের সাহসী মানুষ আমাদের সমাজে খুব কম। শিল্প খাতে তার অবদান অনেক। একটি শিল্পগ্রুপ তৈরি করে কর্মসংস্থানের যে সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, এজন্য দেশের মানুষ তাকে আজীবন স্মরণ করবে। তার মৃত্যু দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ক্ষতি হল।


এ রকম শিল্প উদ্যোক্তার জন্ম সব সময় হয় না
আবুল মনসুর মো. ফয়েজ উল্লাহ, সচিব, আইএমইডি
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মতো এ রকম শিল্প উদ্যোক্তার জন্ম সব সময় হয় না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজ উল্লাহ। তিনি বলেন, তার শূন্যতা পূরণ হতে এ দেশকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। তিনি শুধু একজন সমাজ সংগঠকই নন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার ভূমিকা মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। তার সুন্দর চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটতে দেখা গেছে তার প্রতিষ্ঠিত সবগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠানে। ওনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। মহান আল্লাহপাক যেন এই কর্মবীরকে বেহেশত নসিব করেন।


দেশের অগ্রগতিতে তার অবদান অবিস্মরণীয়
আবুল কালাম আজাদ, সদস্য, পরিকল্পনা কমিশন
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, নুরুল ইসলাম বাবুল ছিলেন একজন কর্মবীর। তার একক প্রচেষ্টায় ৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এটি অনেক বড় বিষয়। তার সবগুলো প্রতিষ্ঠানই ভালোভাবে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার জন্য যেমন তার অনবদ্য ভূমিকা ছিল, তেমনি দেশ গড়ার কাজেও তিনি আত্মনিয়োগ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এখন ওনার পরিবারের সদস্যদের গুরুদায়িত্ব হবে তার স্বপ্নগুলোকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। কেননা তিনি অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছেন। হয়তো এখনও অনেক স্বপ্ন অপূর্ণই রয়েছে। সেগুলো বাস্তবে রূপদান করতে হবে। দেশের অগ্রগতিতে নুরুল ইসলামের অবদান অবিস্মরণীয়।


তাকে দেখে অনেক শিল্প উদ্যোক্তা উৎসাহিত হবেন
ড. সেলিম রায়হান, নির্বাহী পরিচালক, সানেম
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, তাকে (নুরুল ইসলাম) দেখে দেশের অনেক শিল্প উদ্যোক্তা উৎসাহিত হবেন। তিনি ছিলেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। দেশের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে তার যে অবদান, সেটি নিঃসন্দেহে তাকে অমর করে রাখবে। তাছাড়া দেশীয় পণ্যকে ব্র্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে নুরুল ইসলামের যে ভূমিকা এটি যে কোনো উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করবে। তার প্রচেষ্টা ছিল মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানো। সে ক্ষেত্রে তিনি একজন সফল মানুষ। আমরা তার প্রতি শোক জানাচ্ছি। তিনি পরপারে গিয়ে অনেক ভালো থাকুন এবং শান্তিতে থাকুন।


জাতি ওনাকে স্মরণ রাখবে
কাজী শফিকুল আযম, সাবেক সিনিয়র সচিব, ইআরডি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের (ইআরডি’র) সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নুরুল ইসলামের ভূমিকা অনেক। তার এই অবদানের জন্য জাতি ওনাকে স্মরণ রাখবে। বিশেষ করে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশে এত বড় একটি শিল্প গ্রুপ সৃষ্টি এবং পরিচালনায় তিনি ছিলেন একজন সফল মানুষ। তার প্রতিষ্ঠিত পাঠকপ্রিয় যুগান্তর পত্রিকায় আমি অনেক আগে থেকেই ভ্রমণকাহিনী লিখে আসছি। যুগান্তর আমার অনেক প্রিয় পত্রিকা। তার শক্ত অবস্থান এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাব পাঠকদের কাছে প্রিয় করে তুলছে পত্রিকাটি। আশা করছি ওনার পরবর্তী প্রজন্ম সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যাবেন। পিতার দেখানো পথেই এগিয়ে যাবেন সন্তানরা সেই কামনাই করি।


তিনি ছিলেন শিল্পের কবি
সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সাবেক সিনিয়র সচিব
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের এভাবে হঠাৎ করে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। কেননা তিনি বেঁচে থাকলে এ দেশ ও জাতি আরও অনেক কিছুই পেতে পারত। তাকে দেখলে অনেক ইয়াং মনে হতো। মনে হতো তার বয়স ৬০-৬৫ বছর। তিনি সব সময় ফিট ছিলেন। তার মতো একজন মানুষ এভাবে চলে যাবেন ভাবতে অবাক লাগে।


একজন সৎ ও স্বচ্ছ শিল্পপতির প্রস্থান
মনোয়ার আহমেদ, সাবেক সচিব, ইআরডি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাবেক সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেছেন, নুরুল ইসলামের মতো নিট অ্যান্ড ক্লিন শিল্পপতি খুব কমই আছেন। কেননা তিনি এত বড় শিল্প উদ্যোক্তা হয়েও এক টাকাও ঋণখেলাপি নন। এটি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তিনি। তাকে দেখে অন্যরা শিক্ষা গ্রহণ করবেন। দেশের বড় অসময়ে চলে গেলেন এই কর্মসৃজন মানুষটি। তার প্রস্থানে দেশের শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তবে তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে ওনার সন্তানদেরই। তিনি যেমন দেশ ও জাতিকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তেমনি তার দীক্ষায় দিক্ষিত পরিবারের সদস্যরাও এগিয়ে যাবেন সামনের পানে। সৃষ্টিকর্তা পরিবারের সদস্যদের নুরুল ইসলামের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে তৌফিক দান করুন। সেই কামনা করি।


সততার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সাবেক এমডি, অগ্রণী ব্যাংক
অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি ও বিশিষ্ট ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন সজ্জন মানুষ, তবে স্পষ্টবাদী। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সৎ। সততার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ। তিনি ঋণখেলাপি পছন্দ করতেন না। তাই তার গণমাধ্যমে ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিবেদন প্রচার এবং প্রকাশ হতো।


ভিশনারি শিল্পোদ্যোক্তা
আতাউর রহমান প্রধান, এমডি, সোনালী ব্যাংক
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান বলেন, নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন ভিশনারি শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি শূন্য থেকে এত বড় শিল্পপতি হয়েছেন, এটা শুনে অভিভূত হয়েছি। ৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। এর মধ্যে যমুনা ফিউচার পার্কও রয়েছে, যা বিশ্বমানের। এর নামকরণের মধ্যেও ভিশন আছে, ভবিষ্যতের হাতছানি। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ব্যাংক লেনদেনেও তার স্বচ্ছতা রয়েছে। খুবই সংগ্রামী মানুষ ছিলেন। তার অভাব অপূরণীয়।


উন্নয়নের বড় কারিগর
মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, এমডি, অগ্রণী ব্যাংক
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম বলেন, নুরুল ইসলাম অনেক বড় চিন্তা করতেন, যা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। যমুনা ফিউচার পার্কের মতো বিশ্বমানের শপিংমল গড়া সহজ কাজ ছিল না। হবিগঞ্জে যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, এসব একজীবনে সম্ভব নয়। তিনি অনেক বড় কলিজার অধিকারী। তাই তার পক্ষে এটা সম্ভব হয়েছে। উন্নয়নের বড় কারিগর ছিলেন তিনি। ঋণখেলাপির সংস্কৃতিতে কাকে ঋণ দেবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন ব্যাংকাররা। কিন্তু নুরুল ইসলামকে ঋণ দিতে কারও আপত্তি থাকে না।


অসামান্য ব্যবস্থাপনা দক্ষতা
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, এমডি, রূপালী ব্যাংক
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের ছিল অসামান্য ব্যবস্থাপনা দক্ষতা। তার হাতে গড়ে উঠেছে একে একে ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানের শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক। এছাড়া প্রথম সারির খবরের কাগজ, টিভি চ্যানেলসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান কারও কাছ থেকে তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পাননি। বরং নিজের সাম্রাজ্য নিজেই গড়েছেন। এত প্রতিষ্ঠানের নামে কত ঋণ তিনি নিয়েছেন; কিন্তু কখনও খেলাপি হননি। এটা বিরল ঘটনা। দেশের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের চিত্র পাওয়া মুশকিল। সাধারণত ভাত খেলে দু-একটি ভাত নিচে পড়ে যায়, কিন্তু তার একটি ভাতও পড়ে যায়নি। এখানে তিনি অন্যদের থেকে আলাদা।


ব্যবসায় নতুনত্ব ছিল
শফিকুর রহমান, সাবেক এমডি, এসআইবিএল
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি শফিকুর রহমান বলেন, বেকারত্বই বাংলাদেশে বড় সমস্যা হল। এই বেকার সমস্যা সমাধানে নুরুল ইসলামের জুড়ি নেই। তিনি ৪১টি প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। সবই শ্রমঘন। এতে কর্মসংস্থান প্রায় লক্ষাধিক। তার ব্যবসায় নতুনত্ব ছিল। যা কেউ ভাবেনি, তা-ই ভাবতেন তিনি। করোনায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে তার সামাজিক ও মানবিক দায়বোধের বিষয়টি উঠে আসে। এরপর তিনি খেলাপি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। আমি এমডি থাকাকালে তাকে যে ঋণ দিয়েছি, তা যথাসময়ে পেয়েছি। ঋণ পরিশোধ করা তার অনন্য বৈশিষ্ট্য। এ তালিকায় দেশে যদি একজন লোকও থাকে, তিনি হবেন- নুরুল ইসলাম বাবুল।


তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা
কামরুল ইসলাম চৌধুরী, এমডি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন সফল শিল্পোদ্যোক্তা। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা রয়েছে তার। তিনি বেঁচে থাকলে দেশকে আরও অনেক কিছু দিতে পারতেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।


তার সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখতে হবে
ড. আহসান এইচ মনসুর
পলিসি রিসার্স ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, প্রথম প্রজন্মের রুট থেকে উঠে এসেছিলেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উৎপাদনশীলতায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তার হাতে গড়ে তোলা যমুনা ফিউচার পার্ক অর্থনীতিতে অবদান রাখছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রথম শ্রেণির উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি বিশাল শিল্প গ্রুপ গড়ে তুলেছেন। তার সৃষ্টি পরবর্তী প্রজন্ম কর্পোরেট কালচারের মাধ্যমে আরও সম্প্রসারিত করবে এটি প্রত্যাশা। কারণ প্রতিষ্ঠান একজন ব্যক্তি গড়ে তোলেন। পরে তা টিকিয়ে রাখতে কর্পোরেট কালচার গড়ে তোলা জরুরি। সে দিকে বেশি নজর দিতে হবে পরবর্তী প্রজন্মকে।


সফল কর্মবিদ ছিলেন
ড. এমকে মুজেরি
বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. এমকে মুজেরি বলেছেন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম উঁচুমানের মানুষ ছিলেন। ছিলেন সফল কর্মবিদ। যুমনা গ্রুপ স্থাপনের মধ্য দিয়ে তিনি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। দেশ, সমাজ ও অর্থনীতি উন্নয়নে অনেক বড় অবদান রেখেছেন। তার সফল সৃষ্টিগুলো আরও এগিয়ে নিতে তিনি যে পথ তৈরি করে গেছেন সে পথ দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে আরও সফলতা আসবে।


বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে তার অবদান আছে
মাহবুব আহমেদ, সাবেক অর্থসচিব
সাবেক সিনিয়র অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ বলেছন, নুরুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দেশের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তার অবদান রয়েছে। এছাড়া মিডিয়া জগতেও তার বিনিয়োগ রয়েছে। বিনিয়োগের মাধ্যমে তিনি অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। এ সময়ে তার চলে যাওয়া শিল্প জগতে বড় ক্ষতি।


শিল্পায়নের প্রয়োজনটা অনুভব করেছিলেন
ড. আতিউর রহমান, সাবেক গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান একজন স্বদেশি শিল্পোদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। তার এ উদ্যোগের সঙ্গে অনেক ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোক্তা যুক্ত হয়েছেন। সেখানেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তার মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়াকে আমি বেশি গুরুত্ব দেব। দেশের ভেতর যে শিল্পায়নের প্রয়োজন সেটি তিনি অনুভব করেছিলেন। তার ভেতরে উদ্যোক্তা হওয়ার মতো অনুপ্রেরণা ও লেগে থাকার শক্তি ছিল। এ দুই মিলিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পেরেছেন। তিনি পুঁজিকে একদিকে নয়, নানা দিকে বিনিয়োগ করেছেন।


সততার সঙ্গে শিল্প খাতকে এগিয়ে নিয়েছেন
শেখ ফজলে ফাহিম, এফবিসিসিআই সভাপতি
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশের প্রথম প্রজন্মের ব্যবসায়ী। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে শিল্প খাতকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম করে একের পর এক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আমদানির বিকল্প পণ্যের জোগান দেয়ার পাশাপাশি রফতানিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যেখানে হাজারও মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার মৃত্যুতে যে শূন্যস্থানের সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়।


প্রথম সারির কর্মসংস্থান যোদ্ধাকে হারালাম
শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি এফবিসিসিআই ও সংসদ সদস্য
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নুরুল ইসলামের অবদান রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আজীবন কাজ করেছেন। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রথম সারির যোদ্ধা ছিলেন তিনি। অনেক কষ্ট করে শূন্য থেকে শিখরে উঠেছেন। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিশাল শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার হয়েছেন। লাখও মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে সমাজ গঠনে কাজ করে গেছেন। এককথায় নুরুল ইসলাম সম্পর্কে বলতে গেলে- স্পষ্টভাষী এবং সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সার্থক মানুষ ছিলেন তিনি। তার পরবর্তী প্রজন্ম তার দেখানো পথ থেকে বিচ্যুত হবে না এবং যমুনা গ্রুপকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেবে বলে বিশ্বাস করি।


সফল উদ্যোক্তার প্রয়াণ
মীর নাসির, সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই
তিনি অত্যন্ত সাহসী মানুষ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোক্তা ছিলেন। ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতেন। উনি বুঝতেন কোথায় বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে লাভজনক হবে। যমুনা ফিউচার পার্ক তারই প্রমাণ। যখন এই শপিংমল করা হয়, তখন অনেকে বলছে এত বড় মার্কেট চলবে কি না। সবাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও তিনি ঝুঁকি নিয়েছেন। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। তার মৃত্যুতে সফল উদ্যোক্তার প্রয়াণ ঘটল। শিল্প-বাণিজ্যে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ সহজ হবে না।


বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন
নূর আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনিক গ্রুপ
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন আমার বড় ভাইয়ের মতো। একই স্কুলে লেখাপড়া করেছি। একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি ও আত্মীয় সম্পর্ক হওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে ছিল মধুর সম্পর্ক। বেড়ে উঠেছি একসঙ্গে। তিনি ছিলেন একজন চৌকস ও বুদ্ধিমান সফল ব্যবসায়ী। নিরলস পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে গড়ে তুলেছেন অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। দেশের অর্থনীতিতে তার অনেক অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি, আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন। পাশাপাশি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। দোয়া করি যেন পরিবারের সদস্যরা তাকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন।


তার শূন্যতা পূরণ হওয়া কঠিন
গোলাম মোস্তফা, চেয়ারম্যান, দেশবন্ধু গ্রুপ
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রাইভেট সেক্টরের যে ভূমিকা, তাতে যমুনা গ্রুপ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। তিনি অসামান্য মেধা, শ্রম, দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে ধাপে ধাপে গড়ে তোলেন ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু তার অকালপ্রয়াণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হল, তা পূরণ হওয়া কঠিন। একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা হয়েও তাকে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সবকিছুকেই হাসিমুখে বরণ করে তিনি সাফল্যের সঙ্গে জীবনের পথ তৈরি করে এগিয়ে গেছেন।


নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিতে পছন্দ করতেন
আনোয়ার উল আলম পারভেজ, বিসিআই সভাপতি
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম পারভেজ বলেন, একজন আদর্শ উদ্যোক্তা ছিলেন নুরুল ইসলাম। ’৯৫-৯৬ মেয়াদে তিনি বাংলাদেশ চেম্বারের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে কার্যকর নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রেখেছেন। পরে নানা কারণে হয়তো বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেননি। তিনি ভয়-ডরহীন উদ্যোক্তা ছিলেন। সব বাধা-বিপত্তি সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন।


দেশের শিল্পায়নে একটা যুগের সমাপ্তি ঘটল
মোহাম্মদ হাতেম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, বিকেএমইএ
বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, তার মৃত্যুতে একটা যুগের সমাপ্তি ঘটল। তার মতো আরও কয়েকজনের হাত ধরে এ দেশে শিল্পায়নের শুরু হয়েছে। তিনি যেভাবে শিল্প খাতকে বিকশিত করেছেন, বর্তমানে এমন দৃঢ়প্রত্যয়ী উদ্যোক্তা আর নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিন্তাশীল ও সাহসী উদ্যোগে ৪১টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন।


সৎভাবে ব্যবসা করেছেন
সিদ্দিকুর রহমান, সহসভাপতি, এফবিসিসিআই
এফবিসিসিআইর সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, অস্ত্র হাতে জীবনের শুরুতে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। পরে শিল্প স্থাপন করে দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন। এ ধরনের বিরল কৃতিত্বের অধিকারী উদ্যোক্তা খুব কমই আছেন। সব সময় স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে গেছেন। সৎভাবে ব্যবসা করে অল্প সময়ে ৪১টি সফল শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।


সাহসী ও কঠোর পরিশ্রমী উদ্যোক্তা ছিলেন
আবদুল্লাহ আল মামুন, চেয়ারম্যান, ইউএস-বাংলা গ্রুপ
ইউএস-বাংলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি ছিলেন একজন সাহসী ও কঠোর পরিশ্রমী উদ্যোক্তা। নতুন নতুন শিল্পে বিনিয়োগ করে বড় চ্যালেঞ্জ নিতেন। মেধা, সততা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েও সফল হয়েছেন। তিনি যমুনা গ্রুপের ৪১ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।